সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
নলছিটি প্রতিনিধি।।
নলছিটির চাঞ্চল্যকর পরকীয়ার ঘটনায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকাবস্থায় জনতা কর্তৃক প্রেমিক/প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশে দেওয়ার পর পরকীয়া প্রেমিক হিরনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমিক/প্রেমিকাকে আইনের আওতায় আনার দাবিতে নলছিটির সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, নলছিটি উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ঠিকাদারের বাড়ির এক গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী নলছিটি থানার পুল এলাকার অবিবাহিত যুবক মহিদুর রহমান হিরনের সাথে দুই বছর পূর্ব থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই সময়ে দুই বার পরকীয়া প্রেমিক/প্রেমিকা পালিয়ে গিয়ে ৫/৬ মাস বাসা ভাড়া করেও স্বামী-স্ত্রী রুপে বসবাস করে। গন্যমান্য লোকজন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দু’টি সন্তানের কথা বিবেচনায় মীমাংসা করেও দেয়া হয়। তদুপরি গত ১৭ অক্টোবর রাতে পরকীয়া প্রেমিকা ওই গৃহবধূ তার পরকীয়া প্রেমিককে তার বাড়িতে ডেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। যা ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকজন অবহিত হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকাবস্থায় পরকীয়া প্রেমিক/প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরদিন সকালে নলছিটি থানার পুলিশ পরকীয়া প্রেমিক/প্রেমিকাকে নলছিটি থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই পরকীয়া প্রেমিকা তাকে মহিদুর রহমান হিরন জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে বলে মামলা দায়ের করে।
বক্তারা বলেন, পরকীয়ার ঘটনায় প্রেমিক হিরনের চেয়েও প্রেমিকার অপরাধ বেশী, অথচ সে বাদী হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করার কারনে আইনের দৃষ্টিতে ছেলেটি অপরাধী হয়ে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম। তাই প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধী পরকীয়া প্রেমিক/প্রেমিকা উভয়কে আইনের আওতায় আনা উচিত। নতুবা সমাজে নারী নির্যাতনের নামে পুরুষ নির্যাতনের শিকার হবে। ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে কয়েকজন নারীও অংশগ্রহণ করেন।